১।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী “কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরন প্রকল্প (১ম পর্যায়)” এর সফল বাস্তবায়ন জুন / ২০১৭ খ্রিঃ তে সমাপ্ত হয়েছে এবং আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত অঙ্গসমূহের সুফল ইতোমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। IWM কর্তৃক পরিচালিত সম্ভব্যতা সমীক্ষার সুপারিশ অনুযায়ী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জালালপুর বিলকে ২য় TRM বিল ও এর পরবর্তীতে খেসরা বিল, হরিনগর, বারুলি বিল, রাজাপুর, হরিনখোলা বিল এবং দেওলিয়া বিলকে পর্যায়ক্রমিকে পরবর্তী TRM পরিচালনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে । এছাড়া কপোতাক্ষ নদের উজানে নদ খননের ১ম পর্যায়ের কার্যক্রমের বাহিরের অংশের নাব্যতা পুনঃরুদ্ধারের জন্য খনন করা প্রয়োজন এবং তালা উপজেলার শালিখা হতে আমাদি পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের ভরাট হয়ে যাওয়া অংশ খনন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি আপার ভৈরব নদী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা হতে কোটচাঁদপুর উপজেলা হয়ে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে এবং চৌগাছা, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর ও কলারোয়া উপজেলাধীন কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযুক্ত খালগুলি নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার আগরঘাটা বাজারে বিদ্যমান কপোতাক্ষ নদের ডানতীর ভাঙ্গন হতে আাগরঘাটা বাজার রক্ষাকল্পে তীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যমান নিষ্কাশন অবকাঠামোগুলো সচল করার জন্য মেরামত করা প্রয়োজন এবং কপোতাক্ষ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের মাধ্যমে খননকৃত অংশের মাটি দিয়ে জায়াগায় জায়গায় বাঁধ নির্মান করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যেতে পারে।
আলোচ্য কাজগুলো বাস্তবায়ন করার জন্যে যশোর পওর বিভাগের মাধ্যমে “কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরন প্রকল্প (২য় পর্যায়)” নামে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্যে বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
২।
"যশোর জেলাধীন ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সাল হতে বিল কাপালিয়া TRM পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ছিল । কিন্তু স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহলের বিরোধিতা ও বাঁধার কারনে বিল কাপালিয়ায় TRM এর কর্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিল খুকশিয়ায় ৭ বছর মেয়াদি TRM কার্যক্রমও পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়। বিল খুকশিয়ায় TRM এর পর বিল কাপালিয়া TRM পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় ২০১৩ সাল হতে সাগর বাহিত পলি আলোচ্য অঞ্চলের নদী ও খালগুলিকে ক্রমান্বয়ে ভরাট করে ফেলে।
শুষ্ক মৌসুমে জোয়ার-ভাটার ফলে প্রচুর পলি তেলিগাতি-ভদ্রা-হরি নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। ক্রমান্বয়ে মুক্তেশ্বরী-টেকা-হরি নদী ও এর সাথে সংযু্ক্ত খালগুলির তলদেশ অনেক উচু হয়ে নিষ্কাশন ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর ফলে নদীর তলদেশ পাশ্ববর্তী বিল ও খালের তলদেশ হতে উচু হওয়ার কারনে প্রভাবিত এলাকার বর্ষার পানি বিল ও খালের মাধ্যমে নদীতে নিষ্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে যশোর জেলার সদর (আংশিক), অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এই চারটি উপজেলায় প্রায় ৭৩,৪০০ হেক্টর এলাকা প্রতি বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়। ফলে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে বর্ষাকালে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার উদ্ভব হয়।
উদ্ভত পরিস্থিতিতে ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সম্ভ্যবতা সমীক্ষা করে সুপিারিশ মালা প্রনয়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান IWM কে নিয়োগ করা হয়। IWM এর সুপারিশের আলোকে ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য "যশোর জেলাধীন ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)" নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস